1. আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ  Bangla Tribune
  2. 'মুক্তির মহামন্ত্র' এসেছিল যেদিন  bdnews24.com
  3. কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি  Jugantor
  4. ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ - banglanews24.com  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
  5. এক ভাষণেই একটি স্বাধীন দেশ  দৈনিক ইত্তেফাক
  6. Google News-এ সম্পূর্ণ প্রতিবেদন দেখুন

Just a moment...

Just a moment...

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা গৌরবের এক অনন্য দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা গৌরবের এক অনন্য দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯

কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি

ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো‘একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য কি দারুণ অপেক্ষা আর উত্তেজনা নিয়ে/ লক্ষ লক্ষ উন্মুক্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে/ ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে/ ‘কখন আসবে কবি’?/ ...শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে/ রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/ অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন/...কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি/ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।/ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’\r\nদেশের স্বনামধন্য কবি নির্মলেন্দু গুণ রক্তক্ষরা একাত্তরের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বহুল প্রতীক্ষিত শিহরণ-জাগানো কালজয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাক সংবলিত ঐতিহাসিক বজ্রকঠিন ভাষণের মুহূর্তটি এভাবেই তাঁর কবিতায় তুলে ধরেছিলেন। \r\nএকাত্তর সালের এই দিনে মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই-সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধুর অলিখিত অমিত  তেজি ৭ মার্চের সেই ভাষণেরই পরিণতি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মাত্র ১৮ মিনিটের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সেই ভাষণের আবেদন এতটুকু কমেনি। প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে এই ভাষণ প্রেরণার উৎস। যতদিন যাবে নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ মার্চের ভাষণ অনুপ্রেরণার সারথী হিসেবে কাজ করবে। \r\n’৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ একুশ বছর বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক ভাষণটি বাজানোর ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা ছিল, সময়ের ব্যবধানে স্বাধীনতার ডাক সংবলিত বজ্রকঠিন বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণটিই আজ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অমূল্য দলিল। এ ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের গৌরব-সম্মান আরেকবার আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  \r\nতাই বাঙালি জাতি আজ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধ জাগরণের মহাকাব্য, বাঙালি তথা বিশ্বের সকল লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির সনদ। ইতিহাসের ম্যাগনাকার্টার ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের চূড়ান্ত প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক দলিল এবং বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত ও শ্রবণকৃত ভাষণ। \r\nআজ থেকে ৫২ বছর আগের কথা। ১৯৭১ সালে পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে পুরো জাতি তখন স্বাধীনতার জন্য অধীর অপেক্ষায়। শুধু প্রয়োজন একটি ঘোষণার, একটি আহ্বানের। অবশেষে ৭ মার্চ এলো সেই ঘোষণা। অগ্নিঝরা একাত্তরের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নামক মহতী কাব্যের স্রষ্টা কবি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রগম্ভীর কণ্ঠ থেকে ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। \r\nবঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বানটি দিয়েই ক্ষান্ত হননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষের কাছে লাল-সবুজ পতাকাকে মূর্তিমান করে তোলে। আর এই মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্রনির্ঘোষ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে। মূলত রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণই ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলার মুক্তি সংগ্রামের মূল ভিত্তি। \r\nঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মুক্তিপাগল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণ থেকেই মূলত স্বাধীনতার অঙ্কুরোদগম ঘটতে থাকে এ বাংলায়। বাঙালির নিজের দেশের হাজার বছরের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার অবশ্যম্ভাবী পরিণতির দিকে এগুতে থাকে। আজ সেই ঐতিহাসিক দিন, ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি অনন্য সাধারণ দিন। \r\nদেখতে দেখতে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের বয়স ৫২-এ ঠেকছে। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। বিকৃতির নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের আবহে বদলে ফেলার চেষ্টা হয়েছে স্বাধীনতার অনেক ইতিহাস। কিন্তু এই ৫২ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেলেও বদলানো যায়নি শুধুমাত্র ১৮ মিনিটের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণটি। বিশ্বের অনেক মনীষী বা নেতার অমর কিছু ভাষণ আছে। বিশ্বের মধ্যে এই একটি মাত্র ভাষণ যা যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেজে চলেছে- কিন্তু ভাষণটির আবেদন আজো এতটুকু কমেনি। \r\nবরং যখনই প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক ভাষণটি শ্রবণ করেন, তখনই তাঁদের মানসপটে ভেসে ওঠে স্বাধীনতার গৌরবগাথা আন্দোলন-সংগ্রামের মুহূর্তগুলো, আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে দেশপ্রেমের আদর্শে। ৫২ বছর ধরে একই আবেদন নিয়ে একটানা কোনো ভাষণ এভাবে শ্রবণের নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। নানা গবেষণার পর মাত্র ১৮ মিনিটের বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটি আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। \r\nবঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ১৮ মিনিট স্থায়ী এ ভাষণটি অনুবাদ করা হয়েছে বহু ভাষায়। নিউজ উইক সাময়িকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ ৫২ বছরেও ৭ মার্চের ভাষণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখায় অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিবাদী হতে হয়, কীভাবে মাথা নত না করে অবিচল থাকতে হয়, কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়। ভাষণটি যতবার শোনা হয়, ততবারই নতুন ভাবনা তৈরি হয়। এর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য একেকটি স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে, নতুন বার্তা দেয়। ১৮ মিনিটের একটি ভাষণ দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই কালজয়ী ভাষণ। \r\nকী হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক দিনে ॥ স্বাধীনতার জন্য সারাদেশ থেকে ছুটে আসা পিপাসার্ত মানুষের ঢলে একাত্তরের এদিন রেসকোর্স ময়দানের চতুর্দিকে রীতিমতো জনবিস্ফোরণ ঘটে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে নারী-পুরুষের স্রোতে সয়লাব হয়ে যায় তখনকার ঘোড়দৌড়ের এই বিশাল ময়দান। বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের ক্ষমতা হারায় সেদিনের রেসকোর্স। রাজধানী ঢাকার চতুর্দিকে ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা রক্তচক্ষু নিয়ে প্রহরায়। আকাশে উড়ছে হানাদারদের যুদ্ধ জঙ্গি বিমান। মুক্তিপাগল বাঙালির সেদিকে ন্যূনতম ভ্রƒক্ষেপ নেই। সবার শুধু অপেক্ষা তাঁদের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু কখন আসবেন।\r\nগণমানুষের স্লোগানের মধ্য দিয়ে বিকেল তিনটা ২০ মিনিটে জনসমুদ্রের মঞ্চে আসেন স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। আকাশ কাঁপিয়ে স্লোগান ওঠে- ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ।’ মঞ্চে দাঁড়িয়েই বিশাল জনসমুদ্রে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে...ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে...

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

৭ই মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ দিন। প্রতি বছর ৭ই মার্চ যখন ফিরে আসে, আমাদের হৃদয় অনেক কথা ভেসে ওঠে। এই দিনটির জন্যই বঙ্গবন্ধু জীবনভর সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছেন, ‘এই পাকিস্তান...৭ই মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ দিন। প্রতি বছর ৭ই মার্চ যখন ফিরে আসে, আমাদের হৃদয় অনেক কথা ভেসে ওঠে। এই দিনটির জন্যই বঙ্গবন্ধু জীবনভর সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছেন, ‘এই পাকিস্তান...

এক ভাষণেই একটি স্বাধীন দেশ

প্রাচীনকালের সম্রাট-রাজা, ধর্মবেত্তা, রাষ্ট্র বা সমরনায়কদের প্রভূত গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের কথা আমাদের জানা আছে, যা যুগেযুগে নানা জনপদের মানুষকে উদ্বুদ্ধ ...প্রাচীনকালের সম্রাট-রাজা, ধর্মবেত্তা, রাষ্ট্র বা সমরনায়কদের প্রভূত গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের কথা আমাদের জানা আছে, যা যুগেযুগে নানা জনপদের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। সেইসব কালজয়ী ভাষণ মানুষকে অগ্রসরতার দিকে ধাবিত করেছে। আবার এমন কিছু ভাষণ আছে যার ম্মোহনী শক্তি মানুষকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার শক্তি দিয়েছে, শৃংখলিত জনপদের পরাধীনতা ঘুঁচিয়ে মুক্তি দিয়েছে।<p>অবশ্য কিছু কিছু ভাষণ আবার প্রবল প্রলয়ের সৃষ্টি করেছে,&nbsp;নিরন্তর সংঘাত ও রক্তপাতের কারণ হয়েছে। ১০৯৫ সালে পোপ উরবান ২ এর ক্লারমাউন্টে দেয়া ভাষণের কথা আমরা জানি-all who die …. Shall have immediate remission of sins’;&nbsp;এবং এটিও জানি যে&nbsp;, সেই ভাষণে অনুপ্রাণীত হয়ে হাজার হাজার মানুষ ক্রুসেডে নেমে পড়েছিল&nbsp;- যা প্রায় দুই শতাব্দী ধরে চলে। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৬ সালে আলেকজান্ডার দি গ্রেট ভারত অভিযান পরিচালনা করেন। বর্তমান পাঞ্জাবের মাটিতে প্রবল পরাক্রমশালী রাজা পুরুকে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরাজিত করার পর আলেকজান্ডারের বাহিনী আর অগ্রসর হতে পারেনি, বড় প্রতিরোধ হতে পারে ভেবে পিছিয়ে গেছে। এই পিছিয়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ ছিল সৈন্যদের অস্বীকৃতি। বড় সেই সংকটে বাহিনীর মনোবল বাড়াতে আলেকজান্ডার এক প্রবল আবেদনময়ী ভাষণ রাখেন, যা ইতিহাসে স্মরণীয় । ১৮০৪ সালে ফরাসি বীর নেপলিয়ন তার সৈন্যদের&nbsp;মনোবল বৃদ্ধি করতে অষ্ট্রিয়া ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর আগে ঠিক এমনি এক জ্বালাময়ী ও&nbsp;স্বার্থক ভাষণ রেখেছিলেন।<br><br>দাশপ্রথা বিলোপ এবং আমেরিকার সমাজে শান্তি পুনরুদ্ধারে আব্রাহাম লিংকন ১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গে যে যুগান্তকরি ভাষণ রাখেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। রক্তাক্ত যুদ্ধের মৃতদের সম্মান জানিয়ে লিংকন সেদিন উচ্চারণ করেন&nbsp;These dead shall not have died in vain. ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ংকর সময়ে উইনস্টন চার্চিলের ভাষণ ইংল্যান্ড,&nbsp;তথা ইউরোপে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের উদ্বোধনীতে নেতাজী সুভাষ প্রবল আবেগময় যে ভাষণটি রাখেন&nbsp;Comrades! You have voluntarily accepted a mission that is the noblest that the human mind can conceive of –&nbsp;–&nbsp;তা চিরস্মরণীয় । ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর&nbsp;Quit India ভাষণটি ভারতের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে। ১৯৬১ সালে জন এফ কেনেডির বিখ্যাত ভাষণটি ছিল অনন্যসাধারণ। ১৯৬৩ সালে মার্টিন লুথার কিং এর সেই অমর ভাষণ -&nbsp;I have a dream-এর কথাও জানি আমরা। ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জেনারেল অগাস্টো পিনোসেটের সামরিক বাহিনী যখন সমাজবাদী সালভেদর আলেন্দেকে ঘিরে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ওপর গোলাবর্ষণ করতে থাকে,&nbsp;ঠিক তখনই আলেন্দে রেডিওতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ রাখেন,&nbsp;যা অমূল্য সম্পদ হয়ে আছে চিলির গণমানুষের কাছে। ইত্যকার যুগান্তকরি ভাষণের মধ্যেও ৭ মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটি অনন্য আসনে আসীন হয়ে আছে।<br><br>কারণ এই ভাষণ বাঙালি জীবনের এক অমর মহাকাব্য,&nbsp;যা বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস । বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি এতটাই গুরুত্ব বহন করে যে,&nbsp;তা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। সেই ভাষণ বিশ্বঐতিহ্য দলিলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম আরেক দফা বিশ্ব স্বীকৃত হবার গৌরব লাভ করেছে। এই স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক ও সামরিক সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিল, কেবল তারই স্বীকৃতি নয়;&nbsp;এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের গণমানুষ যে ন্যায় সংগ্রাম পরিচালিত করেছিলেন পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে,&nbsp;তারও বিশ্বস্বীকৃতি। অন্যদিকে এই স্বীকৃতি সেই বাঙালি মহাপুরুষের&nbsp;-&nbsp;যিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন তার মাটি ও মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণটি অবিভক্ত পাকিস্তানের ২৩ বছরে নির্মোহ ইতিহাস বাংলাদেশের জন্ম&nbsp;-ইতিহাস। এর তাৎপর্যপূর্ণ নিয়ে বহুমাত্রিক মূল্যায়ন হতে পারে। প্রথমত, ভাষণটি খুবই সংক্ষিপ্ত, স্বতঃস্ফূর্ত ও তাৎক্ষণিক, মাত্র ১৯ মিনিটের মতো&nbsp;এবং ১,১০৭ শব্দের। প্রায় সব অর্থেই এই ভাষণ একটি ক্লাসিক সাহিত্যের মর্যাদা সম্পন্ন,&nbsp;যাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোতে বাঙালির জীবনের মহাকাব্য বলা যায়। এর শব্দচয়ন,&nbsp;আবেগ,&nbsp;ইতিহাসনির্ভরতা,&nbsp;অন্তর ও বাহিরের সংযত ও পরিপাটি ভাষা এবং ছান্দিক গ্রন্থনা, একদিকে যেমন পাকিস্তানের ২৩ বছরের বাঙালি নিপীড়নের নির্মোহ ধারাবিবরণী,&nbsp;অন্যদিকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মানবিক সভ্যতার প্রতি এর রচয়িতার অবিচল আস্থা ও দৃঢ়তার বহিঃপ্রকাশ। সে কারণে সঠিক মূল্যায়নের স্বার্থে ভাষণটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অনুধাবন জরুরি। একদিকে মিলিটারি শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও তার সেনাবাহিনী নির্বাচনি ফলাফল মানতে অস্বীকার করছে,&nbsp;অস্ত্রের ভাষা ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছে, যত্রতত্র বাঙালিদের হত্যাও শুরু করেছে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগতি করা হয়েছে,ফলে গণজাগরণ তুঙ্গে উঠেছে। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এরই মধ্যে নতুন দেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে,&nbsp;সেই পতাকা উড়ছে সারা দেশে। শুধু তাই নয়,&nbsp;মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে নেতার মুখ থেকে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে। অন্যদিকে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যুদ্ধবিমান ও কামান বসিয়ে অপেক্ষা করছে সরকারি বাহিনী,&nbsp;স্বাধীনতা ঘোষিত হলেই জনসভাতে আক্রমণ পরিচালনা করা হবে। একদিকে স্বাধীনতাকামী উত্তাল জনতা অন্যদিকে আসন্ন গণহত্যার শংকা। এ পরিস্থিতিতে কী করবেন বঙ্গবন্ধু?&nbsp;অনুধাবনযোগ্য,&nbsp;জাতির পিতাকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বক্তব্য রাখতে হয়েছে,&nbsp;যা এক&nbsp;কঠিন কাজ। দ্বিতীয়ত,&nbsp;চরম উত্তেজক পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু সেদিন ধৈর্য ও নিয়মান্ত্রিকতার প্রতি অবিচল আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন,&nbsp;বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে বিস্ময়কর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন। কারণ তিনি ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল। অতএব তিনি পাকিস্তানি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে গণমানুষকে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার ডাক দেন,&nbsp;যে ডাক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে । ভাষণটি স্বাধীনতার কার্যকর ঘোষণা হওয়া সত্বেও তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। এরপরেও ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের চালিকা শক্তি, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার শেষ নির্দেশনা&nbsp;এবং একই সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর বিক্রম ও ত্যাগের মূল উৎস। আমরা যারা ঐতিহাসিক রেসকোর্সে উপস্থিত থেকে সেদিন ভাষণটি শুনবার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম, তারা জানি,&nbsp;কীভাবে একটিমাত্র ভাষণ গোটা জাতিকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি বাহিনীতে পরিণত করেছিল&nbsp;এবং যে ভাষণে পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে দিয়েছিলেন।<br><br>আরও পড়ুন: <a href="https://www.somoynews.tv/news/2023-02-25/%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A7%AD-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%A9-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6">ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপনে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ</a><br><br>তৃতীয়ত, এই ভাষণে পাকিস্তানের সরকারকে অকার্যকর করতে বঙ্গবন্ধু এমন এক সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, যা শান্তিবাদী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিচর্চার বহিঃপ্রকাশ। একদিকে সম্ভাব্য যুদ্ধের পথে তিনি জাতিকে প্রস্তুত করেছেন,&nbsp;অন্যদিকে স্বৈরশাসকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, আর নয়, অনেক হয়েছে,&nbsp;এবার শেষ যুদ্ধ।&nbsp;<br><br>চতুর্থত,&nbsp;আমরা স্পষ্টই দেখতে পাই,&nbsp;বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি কেবল সময়ের চাহিদা পূরণ করেছে তাই নয়,&nbsp;একই সঙ্গে ভবিষ্যতের চাহিদাও পূরণ করেছে। আজও যখন বাঙালিকে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়তে হয়,&nbsp;আজও যখন জাতিকে স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে পথ&nbsp;নির্দেশ করে,&nbsp;শক্তিতে বলিয়ান করে।<br><br>বঙ্গবন্ধু মুজিব ছিলেন শুদ্ধতম জাতীয়তাবাদী, মুসলাম ধর্মালম্বি বাঙালি অন্যদিকে আধুনিক মানুষ, যিনি পাকিস্তানি স্বৈরতন্ত্রের ২৩ বছরে মধ্যে ১৩ বছরেরও বেশি সময় কারারুদ্ধ থেকেছেন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসককূলের চরম নির্যাতনী আচরণেও তিনি ভাঙেননি,&nbsp;মোচড়াননি, পরাজিত হননি। নেতাজী সুভাস বসুর পর তাই তিনি হয়ে ওঠেছিলেন বাংলার অবিভাজিত নিস্কলুস যৌবন-শক্তির প্রতীক; মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও&nbsp;খ্রিষ্টানের প্রাণের মানুষ, মনের মানুষ;&nbsp;সব ধর্ম সব বর্ণের অধিকার বঞ্চিত মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষা ও সাহসের প্রতীক । আমার উপলব্ধিতে শেখ মুজিব ধারণ করেছিলেন তিতুমীরের অমিত বিক্রম, মহাত্মা গান্ধীর সহিষ্ণু শান্তিবাদ,&nbsp;রবীন্দ্রনাথের প্রেম&nbsp;এবং সর্বভারতীয় সেনাপতি নেতাজী সুভাসের অসামান্য সাহস। লেখাটির সমাপ্তি টানার আগে অন্য একটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করি। বাংলাদেশের জনকের শততম জন্মবার্ষিকীর মহা-আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। উপলক্ষটি ইতিহাসের আশীর্বাদ হোক,&nbsp;প্রার্থনা করি । গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারি,&nbsp;উদযাপনের সার্থকতা খুঁজে নিতে পারি,&nbsp;সেটিই ছিল প্রত্যাশা। এটি তখনই সম্ভব যখন এই মহাপ্রাণের জীবন ও দর্শন নির্মোহভাবে চর্চিত হবে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু,&nbsp;তার কর্মময় জীবন, জয়বাংলা,&nbsp; মুক্তিযুদ্ধ এবং ৭ মার্চের ভাষণ সময়ের আঙ্গিকে ধারণ, লালন ও চর্চা করা হবে। কারণ একটাই,&nbsp;জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক ভিত্তিকে টেকসই করার বিকল্প কোথায় ? বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়সও অর্ধ শতাব্দি পেরিয়েছে,&nbsp;২০২১ সালে মহাধুমধামে আমরা উদযাপন করেছি স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী। আমার বিশ্বাস,&nbsp;এই দুই মহালগ্ন ঘিরে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক নবজাগরণ, রেনেসাঁর সূচনা হতে পারতো, যদি আমরা জাগরিত, ঋদ্ধ হতে পারতাম, সত্যিকারভাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা হয়নি বলেই আমার ধারণা। আমি যে জাগরণের কথা বলছি সেই জাগরণে অসাম্প্রদায়িক শক্তি যেমন শানিত হতে পারতো,&nbsp;একই সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজের মনোজগত থেকে দীনতার কালিমা অপসারণের সুযোগ তৈরি হতো।<br><br>কিন্তু তা হয়েছে বলে আমার আশংকা ! কয়েক যুগের ব্যবধানে লক্ষ্য করা গেছে যে,&nbsp;রাজনৈতিকভাবে উচ্চকণ্ঠ থাকা সত্বেও আমরা সাংস্কৃতিকভাবে মুক্ত হতে পারিনি। এই দুই ঐতিহাসিক মহালগ্ন ইতিহাসের আশীর্বাদ হয়ে আমাদের দীনতা ঘুঁচিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,&nbsp;আমরা তার সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছি! আমার প্রত্যাশা,&nbsp;নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যথার্থভাবে আসন করে নিক, রাষ্ট্রের সাথে ব্যক্তি মানুষ মুক্ত হোক, অন্তরের কালিমা কলংক থেকে । কিন্তু এ কাজটি যে কেবল শ্লোগান দিয়েই হবার নয়&nbsp;;&nbsp;তাই প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে সত্যিকার অর্থে আত্মায় ধারণ করা, আদর্শিক ভাবে ঋদ্ধ হওয়া। অন্যথায়,&nbsp;বেড়ে ওঠা যে অশনির&nbsp;পুনরাভিযান দেখছি,&nbsp;প্রায় সর্বত্র,&nbsp;সাম্প্রদায়িকতার যে নবজাগরণ দেখছি,&nbsp;তাতে আমি শংকিত। এই শংকা যদি মিথ্যে হয়,&nbsp;বঙ্গবন্ধু ও লাখো শহীদের আত্মা শান্তি লাভ করবে। যদি তা না হয়,&nbsp;তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সুবিশাল অর্জন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। ভয় সেখানেই।&nbsp;</p>

৭ মার্চ ১৯৭১: বাঙালির মহাকাব্য

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি দিন।’ ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতিরাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে

৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে : রাষ্ট্রপতি | NTV Online

bangla.bdnews24.com

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে আমাদের 'স্বাধীনতা নামের এক অমরবাণী শুনান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙাল

৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান: প্রধানমন্ত্রী – চ্যানেল আই অনলাইন

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন জাতির জনক১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন জাতির জনক

৭ মার্চে বিটিভির বিশেষ আয়োজন

Dhakatimes24 is Leading online Bangla newspaper in Bangladesh. We provide 24X7 base update news.You can found here entertainment, politics, international, business newsঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা গৌরবের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা এই দিনে

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, মহাকবির অমর কবিতা

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।

ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Just a moment...

দেশের শিক্ষাবিদরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালি জাতির শপথ। কারণ, ওই দিন ভাষণটি শোনার পর গোটা জাতি শপথ নেয় এবং দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়।দেশের শিক্ষাবিদরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালি জাতির শপথ। কারণ, ওই দিন ভাষণটি শোনার পর গোটা জাতি শপথ নেয় এবং দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির স্বাধীনতার শপথ | The Daily Star Bangla

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বিটিভি আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার। এর মধ্যে রয়েছে মার্চের উত্তাল দিনগুলি, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান ও ৭ মার্চের ভাষণ, বীরাঙ্গনার সাতকাহন, বিশেষ আলোচনানুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিকঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বিটিভি আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার। এর মধ্যে রয়েছে মার্চের উত্তাল দিনগুলি, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান ও ৭ মার্চের ভাষণ, বীরাঙ্গনার সাতকাহন, বিশেষ আলোচনানুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক

৭ মার্চ বিটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ। বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসের অনন্য একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান)...ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ। বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসের অনন্য একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান)...

স্বাধীনতার দ্বার খোলার দিন আজ

Just a moment...

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের  মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাণীতে রাসিক মেয়র বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে জাতির অবিসংবাদিত মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্র্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ৭ মার্চ...

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে রাসিক মেয়রের বাণী

বজ্রকণ্ঠে মুক্তির দিশা ঐতিহাসিক ৭ মার্চঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বাঁকে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ...

বজ্রকণ্ঠে মুক্তির দিশা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশজুড়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশজুড়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ | The Business Standard

Just a moment...

A Blog About Education,Bcs And All Exam Suggestions,Books,Notes,Admission Information, ssc suggetion,hsc suggetion,jsc suggetion, Psc SuggestionA Blog About Education,Bcs And All Exam Suggestions,Books,Notes,Admission Information, ssc suggetion,hsc suggetion,jsc suggetion, Psc Suggestion

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ রচনা | ৭ মার্চের ভাষণ এর রচনা ১০০০/৩০০/৫০০ শব্দ [ PDF]

Bangi News

businesshour24.com provide latest information and finance news on bangladesh with special focus on share market.বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এই দিনটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ৫০ মিনিটে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. […]

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত

৭ মার্চ স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ এবং একজন বঙ্গবন্ধু

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন জাতির জনক বঙ্১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন জাতির জনক বঙ্

৭ মার্চ উপলক্ষে বিটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ...

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সাতই মার্চ বাঙালী জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ দিন। প্রতিবছর সাতই মার্চ যখন ফিরে আসে আমাদের হৃদয়ে অনেক কথা ভেসে ওঠে। এই দিনটির জন্যই বঙ্গবন্ধু জীবনভর..সাতই মার্চ বাঙালী জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ দিন। প্রতিবছর সাতই মার্চ যখন ফিরে আসে আমাদের হৃদয়ে অনেক কথা ভেসে ওঠে। এই দিনটির জন্যই বঙ্গবন্ধু জীবনভর..

স্বাধীনতার মহাকাব্য

Amazon Price Tracker - Chrome Extension